দেশে করোনাভাইরাস বিস্তারের পূর্বে প্রস্তুতি নেওয়ার মত পর্যাপ্ত সময় পাওয়ার পরও ভাইরাসটি মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত কার্যক্রমে সুশাসনের প্রতিটি নির্দেশকে ব্যাপক ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে বলে অভিযোগ করেছে টিআইবি।
তারা বলছে, সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমে পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের ঘাটতি এবং বিভ্রান্তিকর ও পরস্পরবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের কারণে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করেছে।
এছাড়া এই সঙ্কটকালে দীর্ঘসময়ের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা, সুশাসনের ঘাটতি ও অপ্রতুল বাজেট বরাদ্দের কারণে স্বাস্থ্যখাতের দুর্বলতা আরও গভীরভাবে ফুটে উঠেছে।
সোমবার (১৫ জুন) করোনাভাইরাস সংক্রমনের ১০০তম দিনে “করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
এ সময় সংকট মোকাবিলায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ থেকে উত্তরণে ১৫ দফা সুপারিশ প্রদান করে সংস্থাটি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান ও সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহজাদা এম আকরাম।
প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন গবেষণা ও পলিসি বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মনজুর-ই-খোদা এবং ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. জুলকারনাইন।
গবেষক দলের অপর সদস্যরা হলেন একই বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার তাসলিমা আকতার ও ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোরশেদা আকতার।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আউটরিচ ও কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মঞ্জুর-ই-আলম।
উন্নত বিশ্বসহ পৃথিবীর সবদেশেই করোনাভাইরাস মোকাবেলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ও সক্ষমতার ঘাটতি ছিলো উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “বাংলাদেশ ব্যতিক্রম হবে এটা ভাবা কঠিন ধরে নিয়েও আমরা মনে করি সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে এই সমস্যাকে যখন জাতীয় দূর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল এবং বিশেষ করে এই সংকট মোকাবিলায় কোনো দুর্নীতি সহ্য করা হবে না এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “জীবন এবং জীবিকার দ্বন্দে শুরু থেকেই আমরা দেখেছি- অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখার বিষয়টিকে যৌক্তিকভাবে প্রাধান্য দেওয়া হলেও সেখানে পর্যাপ্ত পরিকল্পনা ছিলো না।”