দুই সহযোগীকে নিয়ে মানিকগঞ্জের সিংগাইরের এক কিশোরীকে (১৪) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রহুল আমীন রুবেল (৩২) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। বাড়িতে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের অভিনয় করেছিল সে।
গত ৯ জুন ওই ছাত্রীকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে জেলা সদরের একটি বাসায় নিয়ে গণধর্ষণ করে অভিযুক্তরা।
এ ঘটনায় নির্যাতিতর বাবা ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। বুধবার (১৭ জুন) মামলাটির অন্যতম আসামি জমিলা খাতুনকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
জমিলা মানিকগঞ্জ শহরের উত্তর সেওতা এলাকার জসিম উদ্দিনের স্ত্রী। ওই এলাকায় তাদের ভাড়া বাড়িতেই ঘটনাটি ঘটে। তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত রুবেল নির্যাতিতা ছাত্রী ও তার ছোট বোনকে প্রাইভেট পড়াতেন। প্রায়ই সে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিতো।
নির্যাতনের শিকার ছাত্রী গত ৯ জুন তার দাদার বাড়িতে বেড়াতে গেলে মুঠোফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে মানিকগঞ্জের ওই নারীর বাসায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত। জমিলা নামের ওই নারী তার খালা। সেখানে রুবেল ও তার সহযোগীরা তাকে গণধর্ষণ করে।
নির্যাতিতার মা জানান, তিন দিন জিম্মি থাকার পর ওই বাসার একটি মোবাইল ফোন থেকে মেয়ে ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানায়।
পরে প্রতিবেশিদের সহায়তায় ওই বাসা থেকে মেয়েকে উদ্ধার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করেন তারা।
নির্যাতিতা কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে মূল অভিযুক্ত রুবেল ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, আমি খালার বাড়িতে বেড়াতে গেলে রাস্তায় মেয়েটিকে দেখতে পাই। তার ইচ্ছেমতো মানিকগঞ্জ শহরের একটি বাসায় তাকে রেখে আসি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিংগাইর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল কালাম বলেন, মূলহোতা রুহুল আমীন রুবেলের কথিত খালা জমিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।