করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যবক্ষণে বাংলাদেশে আসা চীনা বিশেষজ্ঞ দল অন্যতম সমস্যা হিসেবে সচেতনতার অভাবকে চিহ্নিত করেছে। রবিবার (২১ জুন) বাংলাদেশ কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতির (ডিকাব) সদস্যদের সাথে অনলাইন মিটিংয়ে ঢাকার চীনা দূতাবাসের কাউন্সিলর ও ডেপুটি চিফ অব মিশন (ডিসিএম) হুয়ালং ইয়ান এ তথ্য জানান বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবি’র একটি খবরে বলা হয়।
তিনি বলেন, “তারা (চীনা বিশেষজ্ঞ দল) জনসচেতনতার অভাবকে অন্যতম সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রমী বলে প্রশংসা করেছেন। তারা চীনের তুলনায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা বলে মনে করেন। বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী তারা পরামর্শ দিয়েছেন।”
“এক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতা খুব গুরুত্বপূর্ণ,’ কোন দেশ একা এ সমস্যার সমাধান করতে পারে না,” যোগ করেন চীনা দূতাবাসের কাউন্সিলর।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে ইয়ান বলেন, “বাংলাদেশে সর্বোচ্চ আক্রান্ত কত হতে পারে বা হবে কি না সেটা বলা সম্ভব নয়। গবেষকরাই কেবলমাত্র বলতে পারবেন যে ভাইরাসটি পৃথিবীতে কত দিন স্থায়ী থাকবে।”
হুয়ালং ইয়ান আরও বলেন, “করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কীভাবে আরও ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারে সে সম্পর্কে সুপারিশযুক্ত চারটি সুনির্দিষ্ট প্রতিবেদন বাংলাদেশের কাছে জমা দেবে বাংলাদেশে সফররত চীনের বিশেষজ্ঞ দল। সোমবার চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ঢাকা ত্যাগ করার আগে ঢাকার চীনা দূতাবাসের মাধ্যমে প্রতিবেদনগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করবে।”
এর আগে চীনা বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য ডা. শুমিং জিয়ানু তাদের পর্যবেক্ষণের ওপর একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত ২০ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে টেলিফোনে কথা বলেন। এ সময় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সর্বাত্মক সহযোগিতার ক্ষেত্রে সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে দেশে আসে চীনের বিশেষজ্ঞ দল।
দুই সপ্তাহ বাংলাদেশে অবস্থানকালে বিশেষজ্ঞরা নির্ধারিত হাসপাতাল, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ও পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে আলোচনা করেন।