এয়যশোরের মণিরামপুর উপজেলা থেকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহৃত প্রবাসীর স্ত্রীকে (২৪) বগুড়া থেকে উদ্ধার করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। একইসঙ্গে অপহরণে সংশ্লিষ্টার অভিযোগে এক ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে আটকও করে তারা।
শুক্রবার (২৬ জুন) বিকেলে অপহৃত ওই নারী ও আটক তিন আসামিকে যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ। বর্তমানে অপহৃত ওই নারীকে তার পরিবারের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়ার ধুনট উপজেলার ধামাচামা গ্রামে অভিযান চালিয়ে অপহৃতকে উদ্ধার ও আসামিদের আটক করা হয়। সে-সময় ১৬ লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালংকারও উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন বগুড়ার ধুনট উপজেলার ধামাচাপা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে জুয়েল আহমেদ, একই গ্রামের ইউপি মেম্বার আলমগীর হোসেন ও তার ভাই মামুন উর রশিদ।
ওসি মারুফ আহমেদ জানান, মণিরামপুর উপজেলার এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন বগুড়ার ধুনট উপজেলার ধামাচাপা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী সোহেল রানা। গত ১ জুন আকস্মিকভাবে নিখোঁজ হন ওই নারী।
পরে তার পরিবারের লোকজন জানতে পারে- মালয়েশিয়া প্রবাসী সোহেলের নির্দেশে তার ছোটভাইসহ কয়েকজনক মাইক্রোবাসে করে নিয়ে গেছে ওই নারীকে। যাওয়ার সময় স্বামীর পাঠানো ৩৬ লাখ টাকা ও ১২ ভরি স্বর্ণালংকারও নিয়ে যান তিনি। এ ঘটনায় গত ১৬ জুন ওই নারীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন মণিরামপুর থানায় অপহরণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওসি আরও জানান, পরবর্তীতে মামলাটির তদন্তভার পায় ডিবি পুলিশ। এরপর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিম ও আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ভোরে বগুড়ার ধুনট উপজেলার ধামাচাপা গ্রামের সোহেল রানার ভাই জুয়েলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই নারীকে এবং একইসঙ্গে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আলমগীর হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৬ লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালংকারও উদ্ধার করা হয়। অপহরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে জুয়েল আহমেদ, আলমগীর হোসেন ও মামুন উর রশিদকে আটক করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আসামিরা টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতানোর উদ্দেশে ওই নারীকে কৌশলে অপহরণ করে এবং তাকে আটকে রাখে।