শনিবার (৪ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে রাজধানীর ওয়ারীতে শুরু হয়েছে ২১ দিনের লকডাউন, তৎপর পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন <strong>মো. মানিক/ঢাকা ট্রিবিউন</strong>শনিবার (৪ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে রাজধানীর ওয়ারীতে শুরু হয়েছে ২১ দিনের লকডাউন, তৎপর পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন <strong>মো. মানিক/ঢাকা ট্রিবিউন</strong>করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীর ওয়ারীতে শুরু হয়েছে ২১ দিনের লকডাউন।
শনিবার (৪ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া তিন সপ্তাহের এ লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কাজ করছে স্থানীয় পুলিশ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবীরা।
ওয়ারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজিত কুমার সাহা বলেন, “সকাল ৬টায় লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে এলাকার বেশিরভাগ বাসিন্দাদের সহযোগিতা পাচ্ছি। তবে এরমধ্যে কয়েকজন কোনও না কোনও কারণ দেখিয়ে রাস্তায় যাওয়ার চেষ্টা করছে।” তাদেরকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, “ওয়ারীর বাসিন্দাদের ঘরের থাকার জন্য সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে। কেবল জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে এ অবস্থায় এলাকা ছাড়তে দেওয়া হবে না।”
শনিবার (৪ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে রাজধানীর ওয়ারীতে শুরু হয়েছে ২১ দিনের লকডাউন, তৎপর পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন মো. মানিক/ঢাকা ট্রিবিউন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সারওয়ার হোসাইন আলো ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “লকডাউন নিশ্চিত করতে এরইমধ্যে ১৫০ জন যুবকের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫০ জনের মতো সদস্য এরইমধ্যে সহায়তা করতে সব বাসাগুলোতে যাচ্ছে।”
এছাড়া করোনাভাইরাস টেস্টের জন্য দুইটি বুথ প্রস্তুত করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক ডাক্তার চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাবেন এবং মুমূর্ষু রোগীদের জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
লকডাউনের আওতাধীন এলাকাগুলো হচ্ছে, ডিএসসিসির ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ারীর টিপু সুলতান রোড, জাহাঙ্গীর রোড, ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন) এবং ইনার রোড হিসেবে লারমিনি রোড, হরে রোড, ওয়ার রোড, র্যানকিন রোড এবং নওয়াব রোড।