প্রায় এক বছর আগে চট্টগ্রাম শহরের নিউমার্কেট এলাকা থেকে হারিয়ে যায় সাত বছরের শিশু বৃষ্টি। চলে যায় রাজশাহীতে। এক বছর ধরে সেখানে ভিক্ষাবৃত্তি করে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে শিশুটি। অবশেষে তাকে উদ্ধার করে বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করেছে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশ।
বৃষ্টির বাবার নাম রাসেল আলী, মা ফারজানা খাতুন। চট্টগ্রামের আইস ফ্যাক্টরি মোড় স্টেশন কলোনি এলাকার বাসিন্দা তারা। রাসেল একজন পানের দোকানদার। রবিবার সকালে তিনি স্ত্রীকে সাথে নিয়ে বোয়ালিয়া থানায় এসে মেয়েকে নিয়ে যান। এতো দিন পর আদরের মেয়েকে পেয়ে তারা আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন এ সময়।
রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন বলেন, “এক বছর ধরে মেয়েটি ভিক্ষাবৃত্তি করে নিজের খাবারের ব্যবস্থা করেছে। রাস্তার ধারে ফুটপাতে ঘুমাতো। চার দিন আগে স্থানীয় একটি পরিবার বৃষ্টিকে তাদের বাড়িতে থাকতে বলে। প্রতিবেশি আরেকটি পরিবারও বৃষ্টিকে দত্তক নিতে চায়। এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ যায়। তখন বৃষ্টি কারও সাথেই থাকতে চায়নি। এ কারণে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপর থানার পরিদর্শক মাহবুব হোসেনকে বৃষ্টির বাবা-মায়ের খোঁজ করতে বলা হয়।
ওসি আরও জানান, পরিদর্শক মাহবুব মেয়েটিকে তার নিজের বাসায় নিয়ে যায়। তার কাছে বাবার নাম জানতে চায়। মেয়েটি তার বাবার নাম বলতে পারে। চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকার কথাও বলতে পারে। সে জানায়, তার বাবার পানের দোকান আছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে পরিদর্শক মাহবুব সে এলাকায় যোগাযোগ করেন এবং বৃষ্টির বাবার সন্ধান পান। মেয়ের কথা জানিয়ে থানায় এসে মেয়েকে নিয়ে যেতে বলেন।
ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মন বলেন, “বৃষ্টিকে তার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করে তাদের চট্টগ্রামে ফেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মেয়েটি তার বাবা-মাকে ফিরে পেল। এ জন্য আমাদেরও ভালো লাগছে।”
