ধর্ষকদের হাত থেকে বাঁচতে কিশোরীর (১৬) চলন্ত লঞ্চ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ার ঘটনায় ভোলা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী কর্ণফুলী-১৩ লঞ্চের তিন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলো- বাবুর্চি মো. হোসেন ওরফে গিয়াস উদ্দিন, এবং কর্মী সাকিল (১৯) ও সাকিল (১৮)।
সোমবার (৬ জুলাই) সকালে তাদেরকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন ভোলার তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জিয়াউল হক।
ঢাকা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন- ধর্ষণ থেকে বাঁচতে চলন্ত লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ
ওসি জিয়াউল আরও বলেন, “ওই কিশোরীর কোনো অভিভাবক পাওয়া যায়নি। ৯-১০ বছর আগে তার বাবা-মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরে তার বাবা ও মা অন্যত্র বিয়ে করেন। বর্তমানে তার মা নোয়াখালীতে থাকেন বলে জানা গেছে। আর ওই কিশোরী তজুমদ্দিন উপজেলায় তার নানীর কাছে থাকত। তার অভিযোগের বিষয়ে নিবিড় তদন্ত চলছে।”
প্রসঙ্গত, কাজের সন্ধানে রাজধানীতে যাওয়ার জন্য শনিবার তজুমদ্দিন থেকে কর্ণফুলী-১৩ লঞ্চে ওঠে ওই কিশোরী। সন্ধ্যা নাগাদ লঞ্চটি ছেড়ে তজুমদ্দিন উপজেলার ভুঁইয়া গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছলে লঞ্চের কয়েকজন স্টাফ তাকে জোরপূর্বক কেবিনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সম্ভ্রম বাঁচাতে ওই কিশোরী তখন মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দেয়। ঘটনার আনুমানিক ৩ ঘণ্টা পরে জেলেরা তাকে উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগী কিশোরী তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।