স্বামী তালাক দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় এক গৃহবধু (৩০) বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সকালে উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ঘটনাটি ঘটে। আত্মহননকারী নারীর স্বামী কামরুল পেশায় একজন সিএনজি অটোরিকশা চালক।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ঢাকা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাস তিনেক আগে কামরুলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে ওই নারীর বিয়ে হয়। ওই নারীর এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তিনি এক সন্তানের জননী ছিলেন। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো।
সোমবার এনজিও থেকে ঋণ উত্তোলনের কথা বলে কৌশলে মৌমিতার কাছ থেকে তালাকের সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর নেন। প্রথমে কামরুল বিষয়টি গোপন রাখলেও মঙ্গলবার সকালে তিনি স্ত্রীকে তালাকের কথা বলে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন। এরপর তিনি সিএনজি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান।
একপর্যায়ে ওই নারী সবার অজান্তে বাড়িতে থাকা বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। ওই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে মরদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ বাড়িতে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
তবে স্ত্রী-ই তাকে তালাক দিয়েছেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন কামরুল।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আব্দুল কুদ্দুস জানান, কামরুল এনজিও থেকে ঋণ নেওয়ার কথা বলে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তার স্ত্রীকে তালাক দেয়। বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে ওই নারী আত্মহত্যা করেন।
ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।