আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) রাত ১১টা ২৫ মিনিটে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সাহারা খাতুনের ব্যক্তিগত সহকারী ঢাকা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। পরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকও সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তার মরদেহ দেশে আনার ব্যাপারে শুক্রবার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এ ঙ তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানান অসুস্থতায় ভুগছিলেন সাহারা খাতুন। তিনি কিডনি, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২ জুন ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। কিছুদিন ধরে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর গত ২৪ জুন মেডিকেল বোর্ড জানায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সাহারা খাতুনকে বিদেশ নেয়া যেতে পারে। পরে গত সোমবার তাকে এয়ার এম্বুলেন্স করে ব্যাংকক নেয়া হয়। সেখানে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ওইদিনই তাকে ভর্তি করা হয়।
সাহারা খাতুনের জন্ম ১৯৪৩ সালের ১ মার্চ। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী এডভোকেট সাহারা খাতুন ছাত্র জীবনে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেন। তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের বিভিন্ন পদে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেন। দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে তার ছিল সরব উপস্থিতি।
সাহারা খাতুন ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর তিনি একই আসনে দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনেও জয়লাভ করেন। ২০০৯ সালে তিনি সরকারের প্রথম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। ২০১২ সালে মন্ত্রণালয়ের রদবদল ঘটলে তিনি সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।