করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শনিবার (১১ জুলাই) বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে অনলাইনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, “গোটা বিশ্বে করোনার তান্ডব চলছে। এর কোন ভ্যাক্সিন ও ঔষধ এখনো বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে সক্ষম হননি। কিন্তু তাই বলে করোনার বাইরেও মানুষের অন্যান্য রোগ-ব্যাধি তো থেমে থাকবে না। কাজেই মহামারী যতই বৃহৎ আকারে থাকুক, মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় কোনরকম ঘাটতি রাখা যাবে না। দেশের প্রান্তিক অঞ্চল থেকে শুরু করে শহর, গ্রামে সবখানেই এবং স্বাস্থ্যখাতের সকল স্তরে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সমানভাবে অব্যাহত রাখতে হবে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বর্তমানে দেশের প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও হাসপাতালে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ে ৫২ হাজার কর্মী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের প্রত্যেককে আমি সাধুবাদ জানাই। মানুষের সেবায় তাদের প্রত্যেককে আরো নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাবার আহ্বান জানাই।”
স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ইউএনএফপিএ’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি আশা টোর্কেসন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু ও আইইএম শাখার পরিচালক ড. আশরাফুন্নেছা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।