ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় এক প্রবাসীর স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৫ জনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ জুলাই) নারী ও শিশু নির্যাতন ও পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ। তবে এখনও পর্যন্ত গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার অভিযোগপত্রে ওই নারী জানান, স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর থেকে তিন মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন তিনি। গত ৫/৬ মাস যাবৎ সাঈদ হোসেন নামে একজন তাকে মোবাইলে বিভিন্ন সময়ে ফোন দিয়ে উত্ত্যক্ত করতো ও কুপ্রস্তাব দিতো। এ বিষয়ে কাউকে কিছু বললে সন্তানসহ তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হতো।
তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন ৩০ জুন রাতে ফোন দিয়ে ঘরের বাইরে আসতে বলে সাঈদ। দরজা না খুললে ভেঙে ঘরে ঢুকবে বলে হুমকিও দেয় সে। মান-সম্মানের ভয়ে তিনি ঘরের দরজা খুলতেই ৩/৪ জন মিলে বাড়ির পেছনের একটি আমবাগানে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে সেই দৃশ্যধারণ করে। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। এরপর থেকেই কাউকে এ বিষয়ে কিছু জানালে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ও তার সন্তানদের ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে আসছিল সাঈদসহ ৫ আসামি। এসময় ওই নারীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকাও দাবি করে তারা।পরে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের কাছে থাকা ওই ভিডিওটি অনেককে দেখায় বলেও অভিযোগপত্রে জানান তিনি।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মতলেবুর রহমান জানান, ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা করেছেন। আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।