জামালপুরের মেলান্দহে ৭ বছর বয়সী শিশুকে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশি এক কিশোরের (১৫) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটি জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে তথ্য জানতে গেলে হাসপাতালে গাইনি বিভাগের ইনচার্জ নার্স রোকসানা বেগম গণমাধ্যমকে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
বুধবার (১৫ জুলাই) মামলার বিষয়টি ঢাকা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম খান।
মামলার এজাহার এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দুপুরে অভিযুক্ত কিশোর শিশুটিকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটির চিৎকারে প্রতিবেশিরা ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। প্রতিবেশিরা নির্যাতিত শিশুটিকে প্রথমে মেলান্দহ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরে তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে তথ্য নিতে গেলে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ইনচার্জ নার্স রোকসানা বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, “আপনি কার পারমিশনে ভেতরে ঢুকেছেন? আপনাকে ধর্ষিতার কোনো তথ্য দেওয়া হবে না।” এরপর নির্যাতিত শিশুটির মা ও খালাকে গাইনি নিজের কক্ষে রেখে নার্স রোকসানা বলেন, “আরএমও স্যারের নিষেধ আছে।”
পরে যোগাযোগ করা হলে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. উত্তম কুমার সরকার বলেন, “আমি ধর্ষিতার বিষয়ে আপনাকে কিছু বলতে পারব না।”
ওসি মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, “ধর্ষক কিশোরের বিরুদ্ধে আজ (বুধবার) একটি মামলা হয়েছে। আসামিকে ধরার জন্য চেষ্টা চলছে।”