নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌর শহরে স্মার্টফোন না পেয়ে অভিমান করে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমনের কারণে তার পরিবার রাজধানী থেকে ওই এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকছিল।
আত্মহননকারী শিক্ষার্থীর (১৭) বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলায়। তার বাবা একজন মালয়েশিয়া প্রবাসী। দৌলতপুরের একটি স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় সে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার ঢাকা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি দিলীপ কুমার জানান, মা ও দুই বোনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীতে থাকত আত্মহননকারী শিক্ষার্থী। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হলে তারা নিজ এলাকায় না ফিরে বড়াইগ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করে।
মেয়েটির মায়ের বরাতে ওসি বলেন,“সম্প্রতি সে বাবার কাছে একটি স্মার্টফোন কিনে দেওয়ার বায়না ধরে। কিন্তু করোনাভাইরাস সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে কাজ না থাকায় তার প্রবাসী বাবা আপাতত মোবাইল কিনে দিতে রাজি হননি। এতে ক্ষোভে-অভিমানে শুক্রবার রাতের যে কোনো সময় শোবার ঘরের ফ্যানের সঙ্গে শাড়ি বেঁধে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে সে। ভোরে ঘুম থেকে উঠে তার মা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। ”
খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।