উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যানের এক সমর্থক পিস্তল দেখিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানিয়েছেন।
সোমবার (২০ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার রামদিয়া খাদ্য গুদামে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে গুদামের প্রহরী মশিউর রহমানকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী গুদাম কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের গুদামে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান-চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাজারে ধান চালের দাম বেশি থাকায় কৃষকরা খাদ্য গুদামে ধান চাল দিচ্ছেন না। তাই ইউএনও উন্মুক্তভাবে ধান চাল কেনার নির্দেশ দেন। আমি এ পর্যন্ত কৃষি কার্ডের মাধ্যমে ৪ শ’ টন ধান কিনেছি।”
তিনি আরও বলেন, “প্রহরী মশিউর রহমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খাজা নেওয়াজ ও তার লোকজনকে খাদ্য গুদামে ধান দিতে উৎসাহিত করে। গত রবিবার খাজা নেওয়াজের লোকজন ও তাদের পেছনে দাঁড়িয়ে প্রহরী আমাকে লাঞ্ছিত করে। পরে ইউএনও প্রহরীকে সতর্ক করে বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে দিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। সেমাবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ৫-৬ জন লোক নিয়ে খাদ্য গুদামে এসে প্রহরীর মাধ্যমে আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে অফিসে ঢোকেন। তিনি আমাকে তার কাছ থেকে ধান নেওয়ার কথা বলেন। আমি সম্মতি না দিলে তার সঙ্গে আসা একজন পিস্তল বের করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।”
“আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছি। তিনি আমাকে আইনি সহায়তার পরামর্শ দিয়েছেন।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খাজা নেওয়াজ বলেন, “আমি বা আমার লোকজন রাতে খাদ্য গুদামে যাইনি। আমাদের বিরুদ্ধে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মিথ্যা অভিযোগ করেছে। গুদামের প্রহরীর সঙ্গে ওই কর্মকর্তার দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে কোনো ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। রাতে গুদামে কী ঘটেছে আমি জানি না।”
ইউএনও সাব্বির আহমেদ বলেন, “এ ঘটনায় ওই কর্মকর্তা আইনি সহায়তা চাইলে তাকে সহায়তা করা হবে। অভিযুক্ত প্রহরী মশিউর রহমানকে বদলির জন্য আমি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ শেফাউর রহমানকে ফোন করলে তিনি তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করেন।”
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. শেফাউর রহমানের মুঠোফোনে ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি।