গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় খাবারের সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ছাত্রী ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার রামশীল কলেজের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষক রজত লাল হালদারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
বরিশাল আদালতে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে একটি ধর্ষণ মামলা চলছে। এরই মধ্যে আবারও তার বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠলো।
ঘটনার শিকার এক ছাত্রীর পরিবার থেকে অভিযোগ করে বলা হয়, সঙ্গীত শিক্ষক রজত লাল হালদার গত ৫ জুলাই সিঙ্গারার সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে একই বাড়ির একাধিক ছাত্রীকে অচেতন করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় গত ৯ জুলাই স্থানীয়রা সালিশের মাধ্যমে তাকে এক মাসের জন্য একঘরে করে।
এক ছাত্রীর বাবা বলেন, “রজত আমার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। এ প্রস্তাব সে প্রত্যাখ্যান করেছে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সিঙ্গারার সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে আমার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এর আগে সে অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই। এর আগে রজত লাল হালদার এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় তার বিরুব্ধে বরিশাল নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রইব্যুনালে একটি ধর্ষণ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এ ছাড়া ওই শিক্ষক রজত লাল হালদার একজন মাদকাসক্ত।”
কোটালীপাড়ার রামশীল কলেজের অধ্যক্ষ জয়দেব বালা বলেন, “শিক্ষক রজতের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারির কথা শুনেছি। তিনি চরিত্রহীন। তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা রয়েছে। রজতের জন্য রামশীল কলেজটি কলঙ্কিত হয়েছে। এ কারণে আমরা লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না। বর্তমানে কলেজ বন্ধ রয়েছে। কলেজ খুললে তার বিষয়গুলো তদন্ত করা হবে। তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
অভিযুক্ত রামশীল কলেজের সংগীত শিক্ষক রজত লাল হালদার যৌন হয়রানি, ধর্ষণ ও মাদক সেবনের কথা অস্বীকার করে বলেন, “আমি মেয়েদের বাড়িতে ডেকে সিঙ্গারা মধ্যে চেতনানাশক মিশিয়ে খাইয়েছিলাম। সিঙ্গারা খেয়ে তারা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। কিন্তু আমি তাদের সম্মান নষ্ট করার কোনো চেষ্টা করিনি। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছে।”
আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, “রজত লাল হালদারের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা রয়েছে। বরিশাল আদালতে মামলাটি বিচারাধীন।”