নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, “আমি কথা বলার জন্যই তৈরি হয়েছি। অনিয়ম এখন নিয়ম হয়ে যাচ্ছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছি ঘরে-বাইরে, পার্লামেন্টে নেত্রীর সামনে সবজায়গায় ন্যায্য কথা বলবো। চোররে চোর বলবো, কাউকে ছাড়বোনা।”
রবিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে ফতুল্লার ওসমানি ক্রীড়া কমপ্লেক্স ভবনে নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত খেলোয়ার প্রশিক্ষক, ক্রীড়া সংগঠক, ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমি টিভি টকশোতে স্পষ্ট ভাষায় অনেক কিছুই বলি। মানুষ প্রশ্ন করে যে, সরকার দলীয় লোক হয়ে এতো সমালোচনা করি কেন? কিন্তু আমারতো কথা বলতেই হবে। আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি, শিক্ষিত শিক্ষিত লোকেরা চুরি করছে। ইবলিশ বলছে আমাদের দুনিয়াতে থাকার দরকার নাই, আমার চেয়ে বড় ইবলিশ দুনিয়াতে এসেছে।”
শামীম ওসমান বলেন, “নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া হয়ে আসার সময় আমি অনেকক্ষণ রাস্তায় জ্যামে আটকে ছিলাম। দেখলাম চাষাঢ়ায় যে কয়টি গাড়ি চলছে, সবগুলোর রোড পার্মিট নাই। এগুলো যানজট লাগিয়ে রাখে। আমি এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বলেছি।”
খেলাধূলা মানুষকে সুস্থ রাখে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “আমি ডিস্ট্রিক্ট চ্যাম্পিয়ন ছিলাম, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট খেলতাম। খেলা মানুষকে সুস্থ রাখে, আমি এমপি হওয়ার পরেও খেলতাম কিন্তু গ্রেনেড হামলার পর অসুস্থ হয়ে পড়ার পর খেলাটা আমার ছাড়তে হয়।”
“আমি যখন প্রথমবার তোলারাম কলেজের ভিপি হই তখন আমাকে কেউ চিনতো না। আমাকে চিনতে পেরেছিলো যখন আমি টেবিল টেনিস ও ব্যাডমিন্টনের সমস্ত পুরস্কার একলা জিতেছিলাম। সবাই তখনি জানলো আমি একেএম শামসুজ্জোহা সাহেবের ছেলে। তার আগে আমার বাবার কথা ছিলো আমি যাতে পরিচয় না দেই।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মো.জসিমউদ্দিন, ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ টিটু, সহসভাপতি ইব্রাহীম চেঙ্গিস প্রমুখ।