বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নকল এন৯৫ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার শারমিন জাহানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (২৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম লঙ্ঘন ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিসও দেওয়া হয়েছে।
এরআগে, শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ থেকে বিএসএমএমইউতে নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় শারমিন জাহানকে। পরদিন শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশে তিনদিনের জন্য তাকে রিমান্ডের নির্দেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালত।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেসয়ার পরপরই করোনাভাইরাস পরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করে বিএসএমএমইউ। মে মাসে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা শুরু করে হাসপাতালটি। ওই সময় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সামগ্রী সরবরাহের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করে হাসপাতাল। এরই ধারাবাহিকতায় ১১,০০০ এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের জন্য বিএসএমএমইউয়ের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল।
চুক্তি অনুযায়ী গত ৩০ জুন প্রথম ধাপে মোট ১,৭৬০টি এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে গত ২ জুলাই ১,০০০টি এবং ৭০০টি মাস্ক সরবরাহ করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রথম দুই ধাপে সরবরাহ করা মাস্কের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। তবে, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে চালান করা মাস্কের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ সরবরাহ করা এন-৯৫ মাস্কের মান নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন চিকিৎসকরা। এরপরই অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করা হয়।
চিকিৎসকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৮ জুলাই শারমিনকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয় বিএসএমএমইউ। এর লিখিত জবাবে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন শারমিন। তবে ২৪ জুলাই বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে মামলা করলে, বিষয়টিকে “ষড়যন্ত্র” বলে দাবি করেন তিনি।
