নরসিংদী সদর উপজেলার শীলমান্দীতে নিজের এক বছরের শিশুসন্তানকে মাটিতে আছড়ে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সোমবার (২৭ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে শীলমান্দী ইউনিয়নের নগর বানিয়াদী গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সুমন মিয়াকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ। সুমন ট্রাকের হেলপার হিসেবে কাজ করেন। নিহত শিশুর নাম শুভ (১)।
পুলিশ ও শিশুটির পরিবার সদস্যরা জানান, দুপুরে খাবার পর বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়েছিল এক বছর বয়সী শুভ। হঠাৎই ঘুম থেকে জেগে প্রচণ্ড কান্নাকাটি করতে থাকে শিশুটি। এ সময় ছেলের কান্নার শব্দে ঘুম ভেঙে যাওয়ায় প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সুমন। তিনি খাট থেকে শিশুটিকে মেঝেতে ছুড়ে ফেলেন। এখানেই ক্ষান্ত দেননি সুমন। তিনি নিজের সন্তানের বুক পা দিয়ে চেপে ধরেন তিনি। এ সময় শিশুটির শরীর থেকে রক্ত বের হতে শুরু করে। সুমনের স্ত্রী মিতু বেগমের চোখের সাম্নেই মুহুর্তেই ঘটে যায় ঘটনাটি। পরে শিশু শুভকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার পরই শিশুটির মায়ের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে যায়। ঘটনা শুনে সুমনকে ঘরের ভেতরে রেখে বাইরে থেকে ছিটকিনি দিয়ে দেন স্থানীয়রা। পরে পেছনের জানালা ভেঙে পালিয়ে যান সুমন। এই ঘটনা গ্রামের মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। পরে সুমন মিয়া পার্শ্ববর্তী ফুলতলা বাজার এলাকায় গেলে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে নরসিংদী মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুমনকে আটক করে।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান জানান, “এই ঘটনায় অভিযুক্ত সুমন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে ওই শিশুর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তবে, শিশুটির পরিবার থেকে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”