Saturday, March 22, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

দুর্নীতির অভিযোগে ইউএনও'র অপসারণ চেয়ে ১২ ইউপি চেয়ারম্যানের চিঠি

তবে, অনৈতিক প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানরা এই কাজ করেছেন বলে দাবি করেছেন বগুড়ার সারিকান্দির  ইউএনও রাসেল মিয়া

আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২০, ০৭:৫০ পিএম

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তার অপসারণ ও শাস্তি দাবি করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করেছেন উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা। এই আবেদনের অনুলিপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন, বিভাগীয় কমিশনারসহ বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হয়েছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলার হাটফুলবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুত তারিক মোহাম্মদ অভিযোগ করেন, সারিয়াকান্দির ইউএনও হিসেবে যোগদানের পর থেকেই নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির সাথে জড়িত হয়ে পড়েন রাসেল মিয়া। বগুড়া-১ আসনের সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুল মান্নান তার অনিয়ম ও ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের ব্যাপারে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও বগুড়া জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন। গত ১৮ জানুয়ারি আব্দুল মান্নানের মৃত্যুর পর ইউএনও রাসেল আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকে গত চার মাসে উপজেলা পরিষদের কোনো সভা হয়নি। পরিষদের কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ইউএনও এডিপি ও রাজস্ব খাতের টাকা নামে বেনামে পিআইসি ও কোটেশন আহ্বান করে নিজের লোকদের দিয়ে ঠিকাদারির নামে আত্মসাৎ করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “পানি উন্নয়ন বোর্ড শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে সারিয়াকান্দিতে যমুনা ও বাঙালি নদীর তীর রক্ষায় কাজ করছে। সেখানে ইউএনও’র যোগসাজসে স্থানীয় বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে নদী তীর রক্ষার কাজ ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছেন ইউএনও রাসেল। এছাড়াও তিনি তিনি জনপ্রতিনিধি ও সেবা গ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এর প্রতিবাদ করলেই মোবাইল কোর্ট ও বরখাস্তের ভয় দেখান তিনি।”

চন্দনবাইশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন দুলাল এ প্রসঙ্গে বলেন, “ইউএনও উৎকোচ ছাড়া কোনো ফাইল ছাড়েন না। এমনকি এলজিএসপি প্রকল্প থেকেও ঘুষ নেন তিনি। এছাড়া জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় না করেই তিনি নিজ সিদ্ধান্তে কাজ করেন। এসব ছাড়াও তিনি অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত। তাই তাকে অপসারণ ও তার দুর্নীতর সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে অপসারণের দাবিতে কর্মসূচী দেওয়া হবে।” 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সারিয়াকান্দির ইউএনও রাসেল মিয়া জানান, “উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তাদের পরিবারের সদস্যরা নানা অনিয়মের সাথে জড়িত। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার নামে মিথ্যাচার করছেন তারা। তাদের অনৈতিক প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় মিথ্যা অভিযোগ করছেন তারা। সঠিক তদন্ত হলে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে আমার সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে না।”

   

About

Popular Links

x