বাংলাদেশে আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণ সুবিধাদি প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত অর্থায়নে ২০২ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংকের কার্যনির্বাহী পরিচালক পর্ষদ। প্রায় ৪৫ লাখ পরিবারের জন্য বাংলাদেশের জাতীয় কৌশলগত শস্য মজুতের সংরক্ষণ সক্ষমতা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ টনে উন্নীত করতে এ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
রবিবার (২ আগস্ট) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্বব্যাংক জানায়, প্রকল্পটি বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জপূর্ণ সময়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, যেমন- ঘন ঘন জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয় বা বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারির মতো সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা করছে।
বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাংকের দেয়া এই ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ৩০ বছর। এরমধ্যে প্রথম ৫ বছর কোনো সুদ গুনতে হবে না বাংলাদেশকে।
আশুগঞ্জ, মধুপুর ও ময়মনসিংহে চলমান বর্তমান নির্মাণ কাজের পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থায়নে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালে ধানের গুদাম এবং চট্টগ্রাম ও মহেশ্বরপাশায় গমের গুদাম নির্মিত হবে।
এ প্রকল্পের ফলে শস্য সংরক্ষণ সুবিধায় লোকসান হ্রাস করবে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ এবং শস্যের পুষ্টিমাণ বর্তমান ছয় মাসের পরিবর্তে দুই বছরের জন্য বাড়িয়ে দেবে।