কক্সবাজারে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় পুলিশ বাহিনী থেকে বহিস্কৃত ও মামলার প্রধান তিন আসামিকে জেলা কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি।
এই তিন আসামি হলেন- টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস, সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ ইনস্পেক্টর লিয়াকত আলী। জানা যায়, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের এই তদন্ত দল বেলা ১১টা থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
এই তিনজন বাদে বহিষ্কৃত আরও ৪ পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে। এই চার বহিষ্কৃত পুলিশ সদস্য হলেন, সাবেক উপ-পরিদর্শক লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন। প্রধান আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হবে বলে কারাগারা সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া ঘটনার পরপরই পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে এই মামলার তদন্তে রয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ইতোমধ্যে ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে র্যাব।
এর আগে রবিবার সকালে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গণশুনানি করে তদন্ত কমিটি। গণশুনানি শেষে বিকাল ৫টার দিকে তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার (এসি) মিজানুর রহমান গণশুনানী শেষে সাংবাদিকদের বলেন, “গণশুনানিতে স্বাক্ষ্য দিতে ১১ জন নাম নিবন্ধন করেন। তবে, আমরা ৯ জনের স্বাক্ষ্য নিয়েছি। অন্য ২জনকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মনে হয়নি। মামলার কার্যক্রম প্রায় শেশ পর্যায়ে। মামলার তদন্তের স্বার্থে যেখানে যাওয়ার প্রয়োজন আমরা সব জায়গা গিয়েছি। তদন্তে মোট ৬০ জনের জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরণের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই বিষয়টি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হবে।”
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা রাশেদ খান। এ ঘটনায় মেজর সিনহার বোনের করা মামলায় বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের সাবেক ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি এবং টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে দুই নম্বর আসামি করা হয়। তারা ছাড়াও আরও সাতজনকে এজহারভুক্ত আসামি করা হয়।