বগুড়ায় ডক্টরস্ ক্লিনিক (ইউনিট-২) নামে একটি মেডিকেল ক্লিনিকের প্যাথলজি রিপোর্টে পাওয়া যাচ্ছিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে থাকা ডা. রওনক জাহান নামে এক চিকিৎসকের স্বাক্ষর। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আফজাল রাজনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত ওই ক্লিনিকে অভিযান চালান। এসময় অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ম্যানেজার সোহেল জামানকে দুই লাখ জরিমানা, অনাদায়ে তাকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পরে অপরাধ স্বীকার করে জরিমানা পরিশোধ করেন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি।
আদালত সংশ্লিষ্টরা জানান, ডা. রওনক শহরের ঠনঠনিয়া এলাকায় ডক্টরস্ ক্লিনিকে (ইউনিট-২) প্যাথলজিস্ট হিসেবে কর্মরত। গত ১৬ আগস্ট করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ায় তিনি বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। এরপরও ক্লিনিক থেকে দেয়া প্যাথলজিক্যাল রিপোর্টে তার স্বাক্ষর থাকছে। ভুক্তভোগী একব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আফজাল রাজনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে অভিযোদের সত্যতা পান। আদালত ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক সোহেল জামানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫২ ধারায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আফজাল রাজন সাংবাদিকদের জানান, ডা. রওনক জাহানের সাথে কথা বললে তিনি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হবার পর প্যাথলজির রিপোর্টে স্বাক্ষর করেননি বলে জানান।
তবে ক্লিনিকটির ব্যবস্থাপক সোহেল জামান দাবি করেন, তারা স্বাক্ষর জাল করেননি। অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোমানা রিয়াজ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ফারজানুল ইসলাম নির্ঝর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।