ব্যাথার নিষিদ্ধ ট্যাবলেট ট্যাপেন্টাডল অবাধে বিক্রি হচ্ছে নীলফমারীতে। পুলিশের তৎপরতা ও মাদকবিরোধী অভিযান চলমান থাকলেও বেশ কিছু দোকানে এখনো বিক্রি হচ্ছে এই ওষুধ।
জানা গেছে, কয়েকটি ওষুধ কোস্পানি ভিন্ন ভিন্ন নামে গোপনে নিষিদ্ধ ট্যাপেন্টান্ডাল বাজারজাত করে থাকে। কোম্পানিগুলো ট্যাপেন্টাডল ৫০, ৭৫ ও ১০০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট তৈরি করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাদকসেবী জানায়, ৫০ মিলিগ্রামের একটি ট্যাবলেটের দাম ১২ টাকা ও ১০০ মিলিগ্রামের দাম ২৫ টাকা। মাদকসেবীরা দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার জন্য এই ট্যাবলেট গ্রহণ করে।
নীলফামারী বড় বাজারের রাসেদ ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী মো. মোকতার আলী জানান, ট্যাপেন্টোডল চলতি বছরের ১০ জুলাই সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপরেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লাভের আশায় মাদকসেবীদের কাছে গোপনে বিক্রি করে থাকে।
এদিকে জেলার ফ্রেন্ডস মেডিকেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মাহমুদুল ইসলামকে (২৫) ট্যাপেন্টাডল মজুত ও বিক্রির দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত তিন মাসের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে সৈয়দপুর উপজেলা শহরের দিনাজপুর রোডে ঘটনাটি ঘটে।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই দোকান থেকে নিষিদ্ধ ২৭ পিস ট্যাপেন্টাডল উদ্ধার করা হয়।
নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এলিনা আকতার মোবাইলে জানান, “যারা ওই নিষিদ্ধ ঔষুধ বাজারে বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। কোনো দোকানে নিষিদ্ধ ট্যাপেন্টাডল পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় নয়।”