টাঙ্গাইলে বাস-সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংর্ঘষে একই পরিবারের ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২ জন।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) সদর উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের রাবনা বাইপাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ভূঞাপুর উপজেলার ভদ্রশিমুল দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল আমিন (৪২), তার স্ত্রী কুকাদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিউলী খাতুন (৩৪) ও আল আমিনের বাবা সোহরাব হোসেন (৭০) এবং মা সালেহা বেগম (৬৪)। এছাড়া আহত হয়েছেন আল আমিনের বোন হাজেরা খাতুন ও একই গ্রামের সিএনজি চালক ফেরদৌস।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ইনচার্জ কামাল হোসেন এ প্রতিবেদকে বলেন, “শুক্রবার সকালে হতাহতরা ভূঞাপুর উপজেলা থেকে সিএনজি ভাড়া করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের যাচ্ছিলেন। এসময় সিএনজিটি মহাসড়কের সদর উপজেলার রাবনা বাইপাস এলাকায় পৌঁছুলে উত্তরবঙ্গগামী সৈকত পরিবহনের একটি বাসের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ৬ জন আহত হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরের দিকে আল আমিনের মৃত্যু হয়। অপরদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় রেফার করা হয়। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে পর্যায়ক্রমে বিকেলের দিকে ৩ জনের মৃত্যু হয়।”
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ বাস এবং সিএনজি জব্দ করেছে। সিএনজির চালক আহত হলেও বাসের হেলপার ও চালক পলাতক রয়েছেন।
এ ব্যাপারে গোবিন্দাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহ আলম সরকার বলেন, নিহত শিক্ষক আল-আমিনের মা অসুস্থ থাকায় শুক্রবার সকালে তার চিকিৎসার জন্য ভূঞাপুর থেকে সিএনজিযোগে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মহাসড়কের রাবনাবাইপাস নামক এলাকায় পৌঁছালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।