পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় নুসরাত শাহী ওরফে কিংজল নামে এক চিহ্নিত মাদকসেবী ও একাধিক মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে ধরার ৩৬ ঘণ্টা পর আর্থিক সুবিধা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ওসির বিরুদ্ধে। চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২৭ মে রাত ১০টার দিকে উপজেলা শহর থেকে কিংজলকে ধরে মঠবাড়িয়া থানায় রাখা হয়। পরে গত ২৯ মে সকাল ১০টায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে আর্থিক সুবিধা নিয়ে কিংজলকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ওসি।
নুশরাত শাহী ওরফে কিংজল মঠবাড়িয়ার টিঅ্যান্ডটি সড়ক এলাকার নাজমুল আহসান কবিরের ছেলে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,সে ওই এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী। পুলিশ জানায়,তার বিরুদ্ধে বরিশাল কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি এবং মঠবাড়িয়া থানায় দ্রুত বিচার আইনে দস্যুতা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে আরও একটি মামলা রয়েছে।
জানা যায়,গত ২৭ মে রাতে কিংজলকে আটকের পর তার স্বজনদের সঙ্গে কয়েক দফায় বৈঠক করেন মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. গোলাম ছরোয়ার। এরপর গত ২৯ মে সকাল ১০টায় কিংজলকে আদালতে হাজির না করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতেকিংজলকে বরিশাল মাদক নিরাময়কেন্দ্রে পাঠায় তার পরিবার। অভিযোগ আছে, আর্থিক সুবিধা নিয়ে কিংজলকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছেন ওসি মো. গোলাম ছরোয়ার।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, কিংজলকে বাঁচানোর জন্য জেলা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে প্রথমে ভুল তথ্য দেন ওসি মো. গোলাম ছরোয়ার। এরপরই তিনি কিংজলকে ছেড়ে দেন। কিন্তু মাদকবিরোধী অভিযানে আটকের পর কোনও মাদকসেবীকে এভাবে ছেড়ে দেওয়ার বিধান নেই।
অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি মো. গোলাম ছরোয়ার বলেন, ‘নুশরাত শাহী ওরফে কিংজলকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। তাকে তার পরিবারের সদস্যদের আবেদনের কারণে পুলিশি প্রহরায় বরিশাল মাদক নিরাময়কেন্দ্রে পাঠনো হয়েছে। সে এখনও আটক আছে।’
মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসান মোস্তফা স্বপন বলেন, ‘নুশরাত শাহী ওরফে কিংজলকে ৩৬ ঘণ্টা থানায় আটক রাখার পর আদালতে না পাঠিয়ে কোন প্রক্রিয়ায় মাদক নিরাময়কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন ওসি তা আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’