বিদ্যুৎ ব্যবহারে সতর্ক ও অপচয় না করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবসময় ভর্তুকি দেয়া সম্ভব হবে না।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সারাদেশে ১৮টি জেলার ৩১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিতকরণে দুটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, ১১টি গ্রিড সাব-স্টেশন, ছয়টি নতুন ট্রান্সমিশন লাইন উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সবসময় ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, “বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রকৃত ব্যয় ভোক্তা স্তরের প্রতি ইউনিট দামের তুলনায় অনেক বেশি। সরকার এখনও ভোক্তা পর্যায়ে কম দামে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ভর্তুকি দিচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আমরা উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় ভোক্তাদের জন্য কম হারে বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছি।” প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতনতা বজায় রাখার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে যাতে দেশের মানুষ তাদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা অর্জন করতে পারে।”
“যত বেশি মানুষ তাদের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা অর্জন করবে, তত বেশি তারা আমাদের যে মূল্য ব্যয় হচ্ছে (বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য) দিতে সক্ষম হবে,” যোগ করে প্রধানমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, সরকারকে জনগণের জন্য সেই সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, “আমরা কেন দেশের মানুষের জন্য এই সুযোগগুলো দিচ্ছি তাতেই এটি নিশ্চিত হয়ে যায়।”
বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলেন, বর্তমানে দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ ২৩ হাজার ৫৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের আওতায় রয়েছে এবং সরকার ২০২১ সালের মধ্যে এই অবস্থা শতভাগে বাড়ানোর লক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমরা ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছি।”
তিনি বলেন, “মোট কথা আমরা পুরো দেশে অর্থনৈতিক উন্নতি করতে চাই, আমরা দেশের পল্লী এলাকায় উন্নয়ন করতে চাই, আমরা গ্রামীণ অঞ্চলে সকল সুযোগ সুবিধা দিতে চাই।”
বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার কর্মকর্তাদের সাথে মন্ত্রণালয় থেকে সংযুক্ত ছিলেন এবং পাঁচটি জেলার সুবিধাভোগীরাও এই কার্যক্রমে সংযুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কিছু উপকারভোগীদের সাথে কথা বলেন।