দাম্পত্য কলহের জেরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মনিরুল ইসলাম (২২) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সিরাজগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আসাদুজ্জামান শনিবার বিকেলে তাকে কারাগরে পাঠানোর আদেশ দেন।
কনস্টেবল মনিরুলের মা মনিরা বেগমও একই মামলার আসামি। ছেলের সঙ্গে তাকেও আদালতে সোপর্দ করা হয়েছিল।
আদালত তাদের দু’জনেরই জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
সিরাজগঞ্জ কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর মোস্তফা কামাল ঢাকা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিত পুলিশ সদস্য মনিরুল ইসলাম জেলার উল্লাপাড়ার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের চর-কালিগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি রাজশাহী (আরআরএফ) পুলিশ লাইনে কর্মরত। শুক্রবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে চর কালিগঞ্জ বাড়ির পাশের পুকুর থেকে মনিরুলের স্ত্রী সুরভী খাতুনের (২০) ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
দাম্পত্য কলহের জেরে নির্যাতন করে মেয়েকে খুন করা হয়েছে অভিযোগ করে সুরভীর বাবা শরিফুল ইসলাম পুলিশ সদস্য মনিরুল, ভোট ভাই মোন্নাফ হেসেন, বন্ধু রঞ্জু মিয়া এবং মা মনিরা বেগমকে আসামি করে উল্লাপাড়া থানায় মামলা করেন।
পুলিশ শনিবার সকালে মনিরুল ও তার মাকে গ্রেফতার করে বিকেলে আদালতে পাঠায়। চার বছর আগে মনিরুল ও সুরভীর বিয়ে হয়েছিল।
বিয়ের পরেও মনিরুলের একাধিক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে প্রায়ই স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হতো। গত বৃহস্পতিবার ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে ফিরলে আবারও বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে সুরভীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বাড়ির পাশের ফুলঝোর শাখা নদীর খালের পানিতে কচুরি পানা দিয়ে ঢেকে রাখা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের সুরভীর মরদেহ ভেসে উঠলে পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।