একইদিনে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর, চৌহালী ও এনায়েতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলি করেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তারা হলেন- শাহজাদপুরের মো. আতাউর রহমান, এনায়েতপুরের মোল্লাহ মাসুদ রানা এবং চৌহালীর রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস।
জেলা পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম স্বাক্ষরিত এক আদেশে বিষয়টি জানানো হয়। বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আদেশটি স্বাক্ষরিত হলেও বৃহস্পতিবার বদলির নির্দেশ কার্যকর হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
তাদের মধ্যে মো. আতাউর রহমানকে এনায়েতপুরে, মোল্লাহ মাসুদ রানাকে শাহজাদপুরে এবং রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাসকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বলেন, ‘‘যেহেতু তিনজনই দায়িত্বপালন কালে নিজ নিজ কর্মস্থলে কিছুটা সমস্যা তৈরি করেছেন, তাই আপাতত জেলার মধ্যে তাদের বদলি করা হলো। এটি পুলিশের প্রতি স্থানীয় জনসাধারণের অবিচল আস্থা তৈরিতে রুটিন বদলি।’’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের ইজারাদার আব্দুস সালামের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে শ্রমিক সাদ্দাম হোসেনকে মারপিট করে থানায় ধরে নিয়ে যান ওসি আতাউর রহমান। প্রতিবাদে তার অপসারণের দাবিতে উত্তরবঙ্গ ট্যাঙ্ক-লরি শ্রমিক নেতারা বাঘাবাড়ি নৌবন্দর ও পাবনা-ঢাকা মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন। অন্যদিকে, গ্রামীণ সংঘাতের বিষয় নিয়ে শাহজাদপুরে গত ৪ মাসে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ গ্রামবাসী নিহত হন। ওইসব ঘটনায় একাধিক মামলা হলেও প্রকৃত আসামীরা এখনও ধরা পড়েনি। এসব ঘটনায় ওসি আতাউর রহমানের দক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
এনায়েতপুর থানার ওসি মোল্লাহ মাসুদ রানার বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গ করে সম্প্রতি সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ ওঠে। বিভাগীয় তদন্ত হলেও করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ায় তার শাস্তির বিষয়টি শিথিল করা হয়।
চৌহালীর চরাঞ্চলে অবাধে মাদক কেনাবেচার বিষয়ে সম্প্রতি স্থানীয় এমপির কাছে পুলিশের তৎপরতা নিয়ে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়েও স্থানীয় এমপির বিরাগভাজন হন ওসি রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস। তিনিও সম্প্রতি নদী ভাঙনের অজুহাতে স্থানীয় দুই ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় সরকারি রাস্তায় সওজের শতাধিক গাছ কাটেন। এ ঘটনায় তদন্তের নামে গড়িমসি ও কালক্ষেপণ করেন ওসি। এসব ঘটনায় রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাসের দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।