জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার মাটিফাটা এলাকা থেকে তক্ষকসহ আট জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ।
গত রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে তাদেরকে আটক করা হয় বলে জানান, বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম সম্রাট।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার নবীনপুর গ্রামের শামছুর রহমান সুমন, একই গ্রামের নূর আলম, শ্রীবরদী পৌর এলাকার আল আমীন, আব্দুল হালিম, জিয়ার আলী, মাটিফাটা গ্রামের বিপুল, বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার তিনানীপাড়া গ্রামের বিপ্লব ও নিলক্ষিয়ার দাড়িপুরা গ্রামের আবজাল শরীফ।
আরও পড়ুন - পদ্মা সেতুর চীনা শ্রমিকদের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো সজারু
বকশীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেন জানান, তক্ষক দেখিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয় এই প্রতারক চক্রটি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রবিবার মধ্যে রাতে মাটিফাটা এলাকা থেকে ওই আট জনকে আটক করা হয়। সে সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি তক্ষক উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা ট্রিবিউন
ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, আটক ব্যক্তিদের নামে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয় এবং তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
তক্ষক সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা জোহরা মিলা ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “তক্ষক (Gecko) গিরগিটি প্রজাতির র্নিবিষ নিরীহ বন্যপ্রাণী। সাধারণত পুরাতন বাড়ির ইটের দেওয়াল, ফাঁক-ফোকড় ও বয়স্ক গাছে এরা বাস করে। কীটপতঙ্গ, টিকটিকি, ছোট পাখি ও ছোট সাপের বাচ্চা খায়। আইইউসিএনের লাল তালিকা অনুযায়ী এটি বিপন্ন বন্যপ্রাণী।”
আরও পড়ুন - দিনভর বাঘের আতঙ্ক, পরে জানা গেল বন বিড়াল
তিনি আরও বলেন, “তক্ষকের দাম ও তক্ষক দিয়ে তৈরি ওষুধ নিয়ে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হয়েছে। আর গুজবে বিশ্বাস করে এক শ্রেণির লোকেরা রাতারাতি ধনী হবার স্বপ্নে তক্ষক শিকারে নেমেছে। যার সবটাই মিথ্যা। মূলত ব্যাপক নিধনই তক্ষক বিলুপ্তির প্রধান কারণ। তক্ষক দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ওষুধের উপকারীরা নিয়ে সেসব শোনা যায়, বৈজ্ঞানিকভাবে তার কোনো ভিত্তি নেই। তারপরও এই গুজবটির কারণেই প্রাণীটি হারিয়ে যেতে বসেছে।”