দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মারা যাওয়াদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ষাটোর্ধ্ব বয়সী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পাঠানো করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২৪ জন শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী, ৪২ জন ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী, ১১৮ জন ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী, ২৯৬ জন ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী, ৬৬৯ জন ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী, ৩৯৫ জন ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী এবং ষাটোর্ধ্ব দুই হাজার ৬১৭ জন। মোট মৃতের সংখ্যার তুলনায় করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত ষাটোর্ধ্ব বয়সীদের শতকরা হার ৫০.৭১%।
এদিকে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ১৬১ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ২৭৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ১৪৮ জনে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১০৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১০ হাজার ২৬১টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১০ হাজার ৬৮৫টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১৯ লাখ ৯ হাজার ৪৬০টি। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১.৯৩ %। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৮.৮১ %।
নতুন যে ৩২ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২২ এবং নারী ১০ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৯৯৬ জন বা ৭৭.৪৩ % এবং নারী ১ হাজার ১৬৫ জন বা ২২.৫৭ % শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৪ %।
এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৭১৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার ৪৯১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৫.৩১%।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।