মাগুরায় শ্রীপুরে সুদসহ ধারের টাকা ফেরত চাওয়ায় মনিরুল মীর (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহত মনিরুল দ্বারিয়াপুর ইউনিয়নের চৌগাছি গ্রামের মৃত ইছাহাক আলী মীরের ছেলে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই যুবক ও এক কিশোরকে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) ভোরে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহম্মদ আলী আহমেদ মাসুদ। আটক তিন ব্যক্তি হলো- চৌগাছি গ্রামের বীরেন্দ্রনাথ প্রামাণিকের ছেলে প্রণব প্রামাণিক (১৮), একই গ্রামের হাবিব মীরের ছেলে বাবু মীর (১৮) ও আইয়ুব হোসেনের ছেলে রাহুল (১৮)।
এর আগে বুধবার দুপুরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এবং রাতে দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের পিছনের একটি ধান ক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, নিহত মনিরুল ইসলামের সুদের কারবার ছিল। ছয় মাস আগে প্রণব প্রামাণিক তার কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নেয়। সম্প্রতি প্রণবের কাছে ছয় মাসের সুদসহ মোট পাঁচ হাজার টাকা দাবি করে মনিরুল। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে বিবাদ হয়।
টাকা আদায়ের জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগের পাশাপাশি প্রায়ই প্রণবের বাসায় গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি দিত মনিরুল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার প্রণব তার দুই বন্ধু- বাবু ও রাহুলকে সাথে নিয়ে মনিরুলকে প্রথমে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে জখম করে। পরে তার ছুরি দিয়ে পেট ও গলা কেটে হত্যা করে মনিরুলকে।
নিহতের স্ত্রী পারভীন বেগম জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ফোন করে টাকা ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে মনিরুলকে ডেকে নেয় অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি। পরে স্থানীয়রা ধান ক্ষেতে মনিরুলের রক্তাক্ত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
শ্রীপুর থানার ওসি মোহম্মদ আলী আহমেদ মাসুদ বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে নিহত মনিরুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি। তবে, নিহতের পরিবার মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানতে পেরেছি। আটক তিন যুবক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্বীকার করেছে।”