কুড়িগ্রামের রৌমারীতে থানায় যাওয়ার পথে হত্যা মামলার বাদীকে তুলে নিয়ে রাতভর নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে এই ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন রৌমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া।
রবিবার দুপুরে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নির্যাতিত শেখ ফরিদ (২৩) জানান, শনিবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের রৌমারী-ঢাকা মহাসড়কের ঝগড়ারচর নামক এলাকা থেকে তাকে তুলে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতন চালিয়ে জোরপূর্বক সাদা কাগজে তার স্বাক্ষর নিয়ে রাখে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের খেতারচর গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে সেলিম (৩৫), একই ইউনিয়নের আমবাড়ি গ্রামের মনিরুজ্জামানের ছেলে হাসান (৩০), দাঁতভাঙ্গা গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সবুজ মিয়া (৪০), শৌলমারী ইউনিয়নের বড়াইকান্দি গ্রামের সমশের আলীর ছেলে চাঁন মিয়া (৫০) ও একই এলাকার শহর আলীর ছেলে রহিম বাদশাহ (৪৫)। এই পাঁচজনই তাকে অপহরণ করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরো জানান, “সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে তারা আমাকে ছেড়ে দেয়। পরে আমি আহতাবস্থায় রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হই।”
ফরিদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা স্বীকার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মোক্তারুল ইসলাম সেলিম বলেন, “ওই রোগীর হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়েছে। তাকে নিয়মিত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
রৌমারী থানার এসআই তুহিন মিয়া বলেন, “ঘটনার দিন আমার সাথে ওই যুবক দেখা করবে বলে মোবাইল ফোনে জানিয়েছিল।পরে ওই দিন আর দেখা হয়নি। রবিবার সকালে ঘটনা জানার পর হাসপাতালে গিয়ে তার সাথে দেখা করেছি। তবে নিজ থেকে ওই যুবককে থানায় আসতে বলিনি।”
রৌমারী থানার ওসি আবু মো. দিলওয়ার হাসান ইনাম বলেন, “কী নিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে আমার জানা নাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”