মাদরাসার পড়া চলাকালে বাকবিতণ্ডা করে দুই শিশু ছাত্র। আর এতেই চটে গিয়ে করেন মারধর। তাতেই থেমে থাকেননি। গরম ইস্ত্রির ছেঁকা দেওয়াও হয় ওই দুই ছাত্রকে। গতকাল বুধবার বিকেলে যশোর সদর উপজেলার উপশহর এলাকার মারকাস মসজিদ মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুই শিক্ষার্থী হলো-সাকিব আল হাসান সিয়াম (৯) ও হুজাইফা হামজাও (৭)।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন শিক্ষকের নামে মামলা করা হয়েছে। তাদের দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-মুফতি মাজেদুর রহমান (৩৮) এবং হাফেজ আজাহারুল ইসলাম (৩৭)। অপর আসামি শিক্ষক তরিকুল ইসলাম (৩৮) পলতাক রয়েছেন।
যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম অভিযোগ করেন, তার ভাগ্নে সাকিব ওই মাদরাসায় লেখাপড়া করে। বুধবার বিকেল ৪টার দিকে মাদ্রাসার মক্তব বিভাগের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম পড়াচ্ছিলেন। সে সময় আরও ছাত্রের মধ্যে মাগুরার সদর উপজেলার লস্করপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে হুজাইফা হামজাও (৭) ছিল।
পড়ার সময় সাকিব ও হামজা বাকবিতণ্ডা করে। এতে শিক্ষক তরিকুল ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মারপিট করেন। অপর দুই শিক্ষক একটি ইলেকট্রিক আয়রন গরম করে এনে তরিকুল ইসলামের হাতে দেন। তিনি দুই শিশু শিক্ষার্থীর ডান হাতের তালুতে ছ্যাঁকা দেন। এ সময় চিৎকার করলে দুজনকে ঘরে নিয়ে আটকে রাখা হয়।
রবিউল ইসলাম আরও বলেন, ঘটনা জানতে পেরে তিনি মাদরাসায় যান এবং দুইজনকে আহত অবস্থায় দেখতে পান। বিষয়টি শিক্ষক তরিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি উল্টো তাকে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। পরে ওই দুই শিশুকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করান এবং পুলিশে অভিযোগ করেন।
পুলিশ গিয়ে মাজেদুর রহমান এবং হাফেজ আজাহারুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে মূল অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম পালিয়ে যান।
আটক দুই শিক্ষক মাজেদুর রহমান এবং আজাহারুল ইসলাম জানান, এই ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত না। মূল আসামি তরিকুল ইসলাম। তিনি পালিয়ে গেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এইচএম মাহমুদ বলেন, শিশুদের অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। তবে মূল আসামি পলাতক রয়েছেন।