গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ফাঁকা আসনে ভর্তির দাবিতে অপেক্ষমান (ওয়েটিং লিস্ট) ৮ শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে নেমেছেন।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে অপেক্ষমান ভর্তি তালিকার গোপালগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কক্সবাজারসহ ৮ জেলার ৮ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অনশনে বসেন। এর মধ্যে ‘এ’, ‘বি’, ‘এফ’ ও ‘এইচ’ ইউনিটের ১ জন করে ও ‘ই’ ইউনিটের ৪ জন শিক্ষার্থী ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও থেকে আসা শিক্ষার্থী মো. মিলন আলী বলেন, “২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে এখনও ৩ শ’৫০টির মতো আসন ফাঁকা রয়েছে। আমরা চাই আমাদের সেই ফাঁকা আসনে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হোক। আমরা সেই দাবিতে অনশনে নেমেছি এবং আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।”
দিনাজপুর থেকে আসা শিক্ষার্থী দীপক চন্দ্র দাস বলেন, “আমরা শুরু থেকেই অপেক্ষা করে আছি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়েই ভর্তি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে আমাদের শিক্ষা জীবন হুমকির মধ্যে পড়েছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আমরণ অনশনে নেমেছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. এম.এ সাত্তার বলেন, “দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত প্রথম বা দ্বিতীয় অপেক্ষমান তালিকার পরে খুব বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় না। কিন্তু আমরা প্রথম, দ্বিতীয় এমনকি তৃতীয় অপেক্ষমান তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করেছি। তবে এর পরেও কিছু আসন ফাঁকা থেকে গেছে। এমনিতেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এতো বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলো। তাই পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ফাঁকা থেকে যাওয়া আসনে আর কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে না। তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। কারণ পরবর্তীতে কোনো শিক্ষার্থীকে না ডাকার মানেই হচ্ছে ভর্তি বন্ধ হয়ে যাওয়া।”
তবে ঠিক কতগুলো আসন ফাঁকা রয়েছে, তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি ড. এম. এ সাত্তার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম মাহবুব বলেন, “এ বিষয়ে এখন সিদ্ধান্ত নিতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে রিজেন্ট বোর্ডের সভায় বিষয়টি তুলতে হবে। সেখানে আলোচনা ও সিদ্ধান্তের পর এ ব্যাপারে ইউজিসির অনুমতি লাগবে।”
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পূজা ও ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি চলছে। ছুটি শেষে আগামী ১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল কার্যক্রম পুনরায় চালু হবে।