ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল আলমের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেট বাতিল করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গত ২৫ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক জহুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ গেজেটের বিশেষ সংখ্যায় শফিকুল আলমসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩৬ জনের সনদ ও গেজেট বাতিলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। এ বিষয়ে গত ২৭ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটের বিশেষ সংখ্যায় বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই হয়। সে সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলমকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য একাধিকবার নোটিশ দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)। কিন্তু শফিকুল আলম উপস্থিত হননি। পরে ২০১৮ সালে জামুকার চেয়ারম্যানের কাছে তিনি আপিল করেন।
এ ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার জানান, চলতি বছরের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে শফিকুল আলমের বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত শুনানি হয়। শুনানিকালে মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এবং তিনি (আল মামুন সরকার) নিজে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের গত ১৭ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল আলমের বিষয়ে তদন্ত হয়। সেখানে শফিকুল আলম নিজেকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন। পরে জামুকার ৬৯তম সভায় শফিকুল আলম সহ মোট ৩৬ জনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেট বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।