হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের সদ্য প্রয়াত আমীর আল্লামা শাহ আহম্মদ শফীকে “জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মারা” গত ১৮ সেপ্টেম্বর হত্যা করে বলে দাবি করেছেন তার ছোট শ্যালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে “হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ” ব্যানারে আয়োজিত সংগঠনটির এক অংশের সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। এসময় তারা শফীকে হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে মঈনউদ্দীন জানান, হত্যার হুমকি পাওয়ার কারণে শফির ছেলে আনাস মাদানি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হতে পারেননি।
মঈনউদ্দীন আরও বলেন, “গত ১৮ সেপ্টেম্বর সুপরিকল্পিতভাবে জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মারা আল্লামা শাহ আহমেদ শফী হুজুরকে হাটহাজারী মাদ্রাসায় হত্যা করেছে। শফী হুজুর স্বাধীনতার পক্ষে থাকার কারণে তার এ পরিণতি করেছে তারা।”
“শফী হুজুর প্রকাশ্যে স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতেন৷ তাদের বিরুদ্ধে নানা বইও লিখেছেন। এ কারণে শফী হুজুরের প্রতি জামায়াত-শিবিরের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল। সেই ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড।”
তিনি আরও বলেন, জুনায়েদ বাবুনগরী তার সমর্থকদের দিয়ে হাটহাজারী মাদরাসায় ভাঙচুর করান। এমনকি তারা ধর্মীয় বই-পুস্তকেও আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা আল্লামা শফীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে এবং পদত্যাগ করতে ভয়ভীতি দেখায়। এর জের ধরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কয়েকবার অক্সিজেন পাইপ খুলে নেওয়ার কারণে কোমায় চলে যান। এমনকি তার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটিকেও বাধা দেওয়া হয়।