কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের কয়া মহাবিদ্যালয়ের সামনে নির্মিত বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্রনায়ক বিপ্লবী বীর বাঘা যতীনের ভাস্কর্য রাতের আঁধারে ভেঙে দেওয়া চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে বাঘা যতীনের ক্ষতিগ্রস্থ ভাস্কর্য দেখে প্রশাসনকে অবহিত করেন স্থানীয়রা।
এর আগে, গত ৫ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া শহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভেঙে দেয় দুর্বৃত্তরা। সেই ঘটনার দুই সপ্তাহ পার না হতেই বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনা ঘটলো।
কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিবুল ইসলাম খান বলেন, “বিপ্লবী বীর বাঘা যতীনের মুখ ও নাকের একাংশ ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার পর আমরা প্রশাসনিক ভাবে যেভাবে দুর্বৃত্তদের আটক করেছি, এ ঘটনায়ও খুব দ্রুত দোষীদের খুঁজে বের করা হবে।”
কুমারখারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান বলেন, “সকাল ১১টার দিকে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। ইতোমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর কাজে নেমেছে। খুব দ্রুত দোষীদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
প্রসঙ্গত, যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ছিলেন একজন ব্রিটিশ-বিরোধী বিপ্লবী নেতা। তিনি ১৮৭৯ সালে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার কয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ভারতে ব্রিটিশ-বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় “বাঘা যতীন” নামেই পরিচিত হয়ে ওঠেন।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার কলকাতায় জার্মান যুবরাজের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করেন বাঘা যতীন। সে সময় তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে জার্মানি থেকে অস্ত্র ও রসদের প্রতিশ্রুতি অর্জন করেছিলেন। তবে ১৯১৫ সালে সশস্ত্র সংগ্রামের এক পর্যায়ে সম্মুখ যুদ্ধে উড়িষ্যার বালেশ্বরে তিনি গুরুতর আহত হন এবং মাত্র ৩৫ বছর বয়সে বালাসোর হাসপাতালে এই বিপ্লবীর মৃত্যু হয়।