আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেনস্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর আগেই আর্থ-সামাজিক অধিকাংশ সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান পার্লামেন্টে বাংলাদেশের কথা আলোচনা হয়। তারা এখন বাংলাদেশ হতে চায়।
শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সেতু ভবনে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা এবং বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ কর্ণারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনার “‘ম্যাজিক্যাল লিডারশীপ, ক্যারিশমেটিক সিদ্ধান্ত মেকিং’ -এ বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভার বিস্ময় জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, “বিশ্বব্যাংক’কে চ্যালেঞ্জ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো সাহস একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কন্যারই রয়েছে। তা তিনি প্রমাণও করেছেন। পদ্মাসেতু নির্মানে কোন প্রকার অনিয়ম হয়নি এবং স্বচ্ছতার সামান্যতম ঘাটতিও ছিলো না। ২০২২ সালে পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে।”
কাদের বলেন, “বিনা যুদ্ধে জয় করেছেন সুনীল সমুদ্র সীমা,লাখো কোটি তরুণের প্রাণে এখন আত্মমর্যাদা বোধের নবস্বপ্ন। খাদ্য ঘাটতির দেশ এখন অর্জন করেছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা। বন্যা, খরা, মঙ্গা, ঘূর্ণিঝড়ের বাংলাদেশ আজ পারমানবিক বিশ্বের গর্বিত সদস্য।”
তিনি বলেন, “যারা মন ও মননে এদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি, তারাই স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি বলয়কে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে।” এসময় বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিএনপি কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধ ও সার্বভৌমত্বের কথা বলে অথচ বিদেশিদের কাছে নালিশ দেওয়াই এখন তাদের প্রধান কাজ। স্বাধীন দেশের রাজনৈতিক দল হয়ে বিজয়ের মাসে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রকাশ্যে বিদেশি শক্তির নৈতিক সাহায্য চাওয়া বিএনপি’র দেউলিয়াত্বের লক্ষণ বলেও জানান তিনি।