কুমিল্লার দেবিদ্বারে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সাবেক স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। বুধবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়ড়া জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক রোজিনা খান এই আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বর্তমানে আসামি পলাতক রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আবদুল কাদের তার দুই ছেলে-মেয়েকে রেখে স্ত্রী আয়েশা আক্তারকে ২০১০ সালে তালাক দেয়। আয়েশা বেগম পরবর্তীতে একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেয়। ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে এক ঈদে সে ওই উপজেলার রাজামেহের গ্রামের বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। এসময় আয়েশা ও তার মা মাজেদা বেগমসহ পার্শ্ববর্তী গুনাইঘর গ্রামে মামার বাড়িতে বেড়াতে যায়।
সেখান থেকে ওই বছরের ১২ আগস্ট সন্ধ্যায় বাবার বাড়ি ফেরার পথে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা আবদুল কাদের পথরোধ করে আয়েশাকে তার সাথে তার বাড়িতে ফেরার জন্য বলে। এনিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আবদুল কাদের আয়েশার পেট ও বুকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় মা মাজেদা বেগমের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন কাদেরকে আটক করে পুলিশে দেয়।
ওইদিন রাতেই আয়েশার বাবা আবুল হোসেন থানায় মামলা করে। পুলিশ আবদুল কাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এতে ১৩ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করে।
বুধবার আদালত আসামিকে ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আসামি আবদুল কাদের জামিন নিয়ে বর্তমানে পলাতক অবস্থায় রয়েছে।