নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় এক গৃহবধূকে (৩৫) ধর্ষণচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সন্তানদের সামনেই বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সেদিনই আদালতের নির্দেশে বিষয়টি তদন্ত করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এর আগে উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের ১ জানুয়ারি রাতে এ ঘটনা ঘটে।
পরে ৫ জানুয়ারি ওই গৃহবধূ জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২’এ একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। বিচারক বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্থানীয় জিয়া ওরফে জিহাদ, ফারুক, এনায়েত, ভুট্টু মাঝি ও ফারুক ওই নারীর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায় এবং মুঠোফোনে সে দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে।
এ সময় তিনি এবং তার ছেলে-মেয়েদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্বামী এসে তাকে উদ্ধার করে। পরদিন শনিবার (২ জানুয়ারি) ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ওই নারীকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে দুই দিন চিকিৎসা নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন ওই নারী।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, এক গৃহবধূ শারীরিক নির্যাতন নিয়ে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিয়েছিলেন।
হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক জানান, আদালতের নির্দেশনা হাতে পাওয়ার পর শনিবার তিনি ঘটনাস্থলে যান। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
এদিকে অভিযুক্তদেরকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।