নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে আদালতে মামহানি মামলার আবেদন করেছেন উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. রিয়াজ উদ্দিন
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টায় নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ২নং আমলি আদালতে এই আবেদন করা হয়।
মামলার আবেদনে বাদী উল্লেখ করেন, “আবদুল কাদের মির্জা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হয়ে গত কয়েকদিন যাবত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাসহ স্থানীয় বিভিন্ন নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে মানহানি করেছেন। গত ৫ জানুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এক জনসভায় বাদী উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্য শোনেন। তিনি তার বক্তব্যে জেলার নেতাদের শুধু মানহানি করেননি, একটি চলমান রাজনৈতিক সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন।”
আবেদনে আরও বলা হয়, “বিবাদীর এসব বক্তব্যের কারণে ভাঙ্গা উপজেলার এমপি নিক্সন চৌধুরীও নোয়াখালী জেলা সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তাছাড়া বক্তব্য চলাকালে তিনি একটি বক্তব্যের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেন। তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।”
অভিযোগে বলা হয় “তার একাধিক কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করায় স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও আমিসহ স্থানীয় সদর উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য নেতাদের মানহানি হওয়ায় এবং আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ায় আমি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে তার বিরুদ্ধে অত্র মামলা দায়ের করলাম।”
বাদী পক্ষের আইনজীবি পলাশ চন্দ্র সাহা বলেন, “২নং আমলি আদালতের বিচারক অনুপস্থিত থাকায় আবেদনের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।”
তবে এ বিষয়ে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
বিক্ষোভ শেষে তারা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহানের কুশপুত্তলিকা দাহ করে।