চাঁদপুরে কলেজ অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সির (৫০) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। সোমবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের পাকা মসজিদ এলাকায় তার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ফেন্সি ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী মহিলা লীগের সদস্য ছিলেন। তিনি চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলামের স্ত্রী।
ফেন্সির ভাই ষোলঘর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু নঈমের অভিযোগ, ফেন্সিকে তার স্বামী জহিরুল ইসলাম তাকে হত্যা করেছেন। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, জহিরুল কয়েক বছর আগে আরেকটি বিয়ে করেন। সেটি নিয়ে পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল।
নিহতের আরেক ভাই ফোরকান বলেন, এ হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত। তিনিও জানান, দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝামেলা ছিল। সে কারণেই তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, জহিরুল ইসলাম রাত ১১টার দিকে আমাদের খবর দেন। আমরা গিয়ে দেখি বোনের রক্তাক্ত দেহ কক্ষের মেঝেতে পড়ে আছে।
তবে ফেন্সির স্বামী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বাসায় ছিলাম না। বাসায় এসে দেখি রুমের দরজা খোলা। রুমের মেঝেতে তার (ফেন্সির) দেহ পড়ে আছে। পরে আমার চিৎকারে লোকজন ছুটে আসে।’
স্বজনরা জানান, জহিরুল-ফেন্সির দাম্পত্য জীবন ২০ বছরেরও বেশি সময়ের। তাদের তিন মেয়ের মধ্যে দুজন দেশের বাইরে থাকেন। আরেকজন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে পড়ছেন। চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। ঘটনা খতিয়ে দেখছি।’
খবর পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল লতিফ, সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যান।