নওগাঁর মহাদেবপুরে বছরের পর বছর সংস্কার না করায় বেহাল হয়ে পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ মহাদেবপুর-শিবগঞ্জ সড়ক। কার্পেটিং, ইট-খোয়া উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঘটছে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা।
স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘবে সড়কটি সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর।
প্রায় আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়কটির দুই প্রান্তে দুটি বড় হাট মহাদেবপুর ও শিবগঞ্জ। এ দুটি হাটের কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহনে একমাত্র সড়ক এটি। সড়কটি দিয়ে উপজেলার উত্তরগ্রাম, সফাপুর ও সদর ইউনিয়ন এবং মান্দা উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ চলাচল করে।
দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে। স্থানীয়দের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করলেও সেটি সংস্কারে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
সাফাপুর গ্রামের বাসিন্দা অক্কাজ আলী বলেন, রাস্তাটির কার্পেটিং উঠে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। পায়ে হেঁটে চলাচলের অযোগ্য। দেখে বোঝার উপায় নেই রাস্তাটি পাকা ছিল।
তিনি বলেন, "২০০২ সালের দিকে সড়কটি পাকা করা হয়। এরপর একবার সংস্কার হয়েছে। সংস্কারের কয়েক বছর পর থেকেই খানাখন্দ ও গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় বেহাল দশায় পড়ে সড়কটি। তবে গত ৭-৮ বছরে আর কোন সংস্কার করা হয়নি।"
ভ্যান চালক লোকমান আলী বলেন, "ভ্যান চালিয়ে রোজগার করে খাই। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের বেহাল দশার কারণে যাত্রী পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও ভ্যান চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে এবং গাড়ি ভেঙে যাচ্ছে। এজন্য যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নিতে হয়। ফলে যাত্রীরাও ভোগান্তিতে পড়েন।"
দোহালী গ্রামের বাসিন্দা কবির বলেন, "সড়কের দুই মাথায় দুটি বড় হাট-বাজার মহাদেবপুর ও শিবগঞ্জ বাজারে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। সংস্কার না করায় ব্যস্ততম এই সড়কটি এখন প্রায় পরিত্যক্ত। জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানাচ্ছি।"
তিনি বলেন, এই এলাকায় প্রচুর ধান-সবজি উৎপাদন হয়। কৃষকেরা ধান ও সবজি হাট-বাজারে নিতে বিভিন্ন গাড়ি ভাড়া করে। এই সড়কে যাতায়াত করলে গাড়ির অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) নওগাঁর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজেদুর রহমান বলেন, "সড়কটি সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। একটি প্রকল্প গ্রহণ করে সড়কটি সংস্কারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।