যশোর শিক্ষাবোর্ডে উচ্চ মাধ্যমিকে (এইচএসসি) অটোপাস করা মোট ১৬৯৫ জন শিক্ষার্থী ফলাফল পুনঃনিরীক্ষার জন্য আবেদন করেছে।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ পুনঃনিরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে।
গত ৩০ জানুয়ারি যশোর শিক্ষাবোর্ড সারাদেশের সঙ্গে একযোগে ২০২০ সালের এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ সালে দেশে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এ পাবলিক পরীক্ষা বাতিল হয় যেখানে ২০২০ সালের এইচএসসি ব্যাচ অটোপাসের মাধ্যমে সার্টিফিকেট পাবে।
এ পরীক্ষায় আবেদনকৃতদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই শিক্ষাবোর্ডগুলো ফলাফল তৈরি করেছে।
যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, "পরীক্ষার্থীদের এবারের আবেদন নিয়ে খানিকটা মুশকিলে পড়েছে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ। এবার নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ফলাফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করেনি। এ কারণে সকল বিষয়ে জেএসসি ও এসএসসির খাতা নিরীক্ষা করেই ফলাফল তৈরি করতে হচ্ছে।"
এদিকে, নিয়মানুযায়ী ফলাফল প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের খাতা পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করতে হয়। পুনরায় মূল্যায়নের জন্য ফি হিসেবে ১২৫ টাকা জমা দিতে হয় বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে মোট এক লাখ ২১ হাজার ৫২৮ জন পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণের কথা ছিল। ঘোষিত ফলাফলে এরা সবাই অটোপাস করেছে। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৮৯২ জন। তাদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৯ হাজার ৯২২, মানবিক বিভাগে ২ হাজার ২১৩ জন ও বাণিজ্য বিভাগে ৭৫৭ জন রয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বন্ধ
দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির তেমন উল্লেখযোগ্য উন্নতি না হওয়ায় সরকার কওমি মাদ্রাসা ব্যতীত দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ২৮ ফেব্রুয়ারি অবধি বৃদ্ধি করেছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলে সরকার দেশের সমস্ত স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে।