কুড়িগ্রামের বিসিক শিল্প এলাকা থেকে উদ্ধার দুই শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে একজনকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয় বলে আলামত মিলেছে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর শিল্প এলাকার নিকটবর্তী একটি পরিত্যাক্ত সেচ পাম্প ঘরের পাশ থেকে ওই দুই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আটক চারজনের দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মাহমুদুল ইসলাম দ্বিতীয় দফায় এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রিমান্ডে নেওয়া চারজন হলেন– কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার কৃষ্ণপুর দক্ষিণ ডাকুয়া পাড়া গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে মুকুল মিয়া (৩২), একই গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে সবুজ মিয়া (৩০), সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের ধুলাউরা গ্রামের আছর উদ্দিনের ছেলে মমিন মিয়া ও একই ইউনিয়নের পূর্ব কল্যান ভোগরাম এলাকার আবদুল জলিলের ছেলে মো. সাজু মিয়া (২৯)।
ওসি জানান, ‘আটককৃতদের কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে দ্বিতীয় দফায় ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত পুনরায় তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) নূরুন্নবী জানান, আটককৃতদের প্রথম দফায় রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। ওই দুই শিক্ষার্থীর হত্যাকাণ্ডেরর বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
ময়নাতদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ওই দুই শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি আরও জানান, হত্যার আগে সেলিনা নামের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তবে সেটা দল বেঁধে ধর্ষণ কিনা তা পুর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে কুড়িগ্রামের বিসিক শিল্প এলাকায় রেললাইনের পাশে নালিয়ার দোলায় একটি পরিত্যক্ত সেচপাম্প ঘরের পাশ থেকে জাহাঙ্গীর আলম (১৬) ও সেলিনা (১৪) নামের দুই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জাহাঙ্গীর আলম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের পূর্ব কল্যাণ (নাগদার পাড়) গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে ও কুড়িগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্র। সেলিনা কুড়িগ্রাম পৌরসভার ডাকুয়াপাড়া গ্রামের জাবেদ আলীর মেয়ে ও আমিন উদ্দিন আহমেদ দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।