সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বন্ধুত্ব। অতঃপর প্রেম। প্রেমের স্বীকৃতি পেতে পরিবারের অমতেই বিয়ে। অবশেষে বিয়ের চার মাসের মাথায় হলেন লাশ।
শনিবার (৬ মার্চ) সকালে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ফুলজোড় গ্রামে নিজ শয়নকক্ষ থেকে গৃহবধু মিতু খাতুনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফুলজোড় গ্রামের জুবায়ের খানের সঙ্গে ফেসবুকে টাঙ্গাইল সদরের নাগরপুরের মিজানুর রহমানের মেয়ে মিতু খাতুনের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবারের সম্মতি না পেয়ে চার মাস আগে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। জুবায়েরের পরিবার বিয়ে মেনে নিলেও মিতুর পরিবার বিয়েতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে পরে নানা কারণে মিতু ও জুবায়েরের মধ্যে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়।
মিতুর শ্বশুর বাড়ির লোকজন জানান, শুক্রবার (৫ মার্চ) দুপুরে খাবার পর মিতু নিজের ঘরে ঢুকে দরজা ও জানালা বন্ধ করে দেয়। রাতে ঘর থেকে বের না হলে তারা ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মিতুকে দেখতে পান তারা।
নিহত মিতুর মা সোনিয়া আকতারের দাবি, স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অত্যাচার সইতে না পেরে মিতু আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে সকালে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
ওসি শহিদুল ইসলাম আরও জানান, মৃতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোনো অসংগতি পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।