দুটি দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ পূর্বের শর্তে আরও ৬ মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে মতামত দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৮ মার্চ) খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, খালেদা জিয়ার শাস্তি মওকুফ এবং তার সাজা স্থগিতের একটি আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, "খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার তার বোনের সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য মঙ্গলবার আপিল করেছেন।"
এর আগে বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন বিএনপি চেয়ারপার্সন তার চিকিৎসা নিতে না পারায় বিএনপি শর্তে শিথিলতা চেয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠায় আদালত। পরে হাইকোর্ট তার সাজার মেয়াদ দ্বিগুণ করে। একই বছরে তিনি আরও একটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। যদিও তার দল বলছে, দুটি মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
দুর্নীতির মামলায় ২৫ মাস কারাভোগের পর নির্বাহী আদেশে ছয় মাস দণ্ড স্থগিত হওয়ায় গত বছরের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি পান সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
একইদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান তিনি এবং তখন থেকেই গুলশানের বাসভবন "ফিরোজা"য় অবস্থান করছেন।
গত বছরের ২৭ আগস্ট সরকার তার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বৃদ্ধি করে।