বগুড়ার গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আজম খানের বিরুদ্ধে স্কুলের নামে এক অসহায় নারীর ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ২৯ শতক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ অমান্য করে সেখানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও তাকে সহযোগিতা করছেন না।
গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ি গ্রামের মৃত আবদুর রহিম পাইকারের মেয়ে রেবেকা বেগম মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন। তিনি ও তার পরিবার দখলবাজদের হামলা ও মামলার ভয় করছেন। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজম খান জানান, ওই সম্পত্তি স্কুলের নিজস্ব। সেখানে আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। সরকারিভাবে জেলা পরিষদ থেকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ চলছে। গাবতলীর বাগবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই শাহাদত হোসেন জানান, ১৯৮২ সাল থেকে ওই সম্পত্তি স্কুলের।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রেবেকা বেগম বলেন, তার মা জাহানারা বেগম মারা গেলে ওয়ারিশ সূত্রে তিনি, তার দুই বোন ও চার ভাই বাগবাড়ি গ্রামে ৬৮.৫০ শতক জমির মালিক হন। সেখানে তারা গাছ লাগিয়ে, পুকুর খনন করে ও চাষাবাদ করে ভোগদখল করে আসছেন। এমতাবস্থায় কে এম উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজম খান ও অন্যরা ২৯ শতক জমির মালিকানা দাবি করেন। দখলের হুমকি দেয়ায় তারা বাধ্য হয়ে বগুড়ার প্রথম যুগ্ম জজ আদালতে মামলা (১৫৮/১৬ বন্টন) করেন। আদালত গত ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর নালিশী ৮৬৬৮ দাগের পূর্বে ধানী ও পুকুরসহ মোট ২৯ শতক জমিতে মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। এরপরও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি জোড়পূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছে। নিষেধ করলে ফৌজদারী মামলা ও নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে আদালতের কাগজ দেখালে তারা তা ভুয়া দাবি করে। ফলে দখলবাজরা আরো সাহস পেয়েছে। রেবেকা বেগম তার সম্পত্তি বেদখল ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।