চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্বৃত্তদের পাথর নিক্ষেপে গুরুতর আহত হয়েছেন চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী মহিলা যুবলীগের সভাপতি ফরিদা ইলিয়াছ।
শুক্রবার (১২ মার্চ) রাত ৯টার দিকে ট্রেনটি মেহের রেলওয়ে স্টেশন ও হাজীগঞ্জ এর মধ্যবর্তী স্থানে আসলে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের এ ঘটনা ঘটে। চাঁদপুর পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত আহত কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াছ প্রথমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। পরে তাকে শহরের হাজী মহসীন রোডস্থ প্রিমিয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ সংবাদ পেয়ে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমানসহ আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, মহিলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ হাসপাতালে ফরিদা ইলিয়াছকে দেখতে যান।
চাঁদপুর জিআরপি থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা এক্সপ্রেস করে লাকসাম নাঙল কোর্ট থেকে ব্যক্তিগত কাজ শেষে ট্রেনে চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হন ফরিদা ইলিয়াছ। বাইরের জানালা দিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে পাথর নিক্ষেপ করায় মুখমন্ডল ও বুকে ব্যথা পান তিনি।
চাঁদপুর রেলওয়ে (জিআরপি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ উল্লাহ বাহার বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই আমি ট্রেনে ডিউটিরত পুলিশ অফিসারের কাছ থেকে বিষয়টি জেনেছি। রাত ১০টায় চাঁদপুর কোর্ট স্টেশনে ট্রেনটি আসলে আহত কাউন্সিলরকে তার আত্মীয় স্বজন ও পুলিশসহ তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অবস্থা আশঙ্কামুক্ত হওয়ায় শহরের প্রিমিয়ার হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক মোবারক হোসেন চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি।
ওসি আরও বলেন, এই ঘটনায় চাঁদপুর রেলওয়ে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অবগত করা হয়েছে। শনিবার থেকেই চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথে পাথর নিক্ষেপের ঘটনার বিষয়ে অভিযান করা হবে।