হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের উপর হামলা, মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, গাড়ি ভাংচুরের মধ্য দিয়ে হেফাজতে ইসলামের হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে রবিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার নোয়াগড় যাত্রী ছাউনির নিকট পুলিশ ও হেফাজত কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে ৭ পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।
বিক্ষুব্ধ হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের নেতাকর্মীরা টহল পুলিশের পিকআপ ভাংচুর করে। তারা পুলিশের দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে টহল দেওয়ার এক পর্যায়ে পুলিশ আজমিরীগঞ্জ- বানিয়াচঙ্গ সড়কের জলসুখা ইউনিয়নের নোয়াগড় এলাকায় যায়। এ সময় পুলিশের সাথে পিকেটারদের তর্ক বিতর্ক হয় ও এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। শত শত হেফাজত নেতাকর্মী ও গ্রামবাসী পুলিশের উদ্দেশে ইট-পাথর ছুঁড়তে থাকে। এতে আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি নুরুল ইসলামসহ সাত পুলিশ আহত হন।
ওসি নুরুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৩৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ব্যবহার করে। তবে জনতার তাণ্ডবে পুলিশ পিছু হটলে পুলিশের পিকআপ ভাংচুর ও দুইটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় জনতা।
খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সেখানে গেলে গ্রামবাসীরা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশকে মোকাবেলার জন্য ঘটনাস্থলে আসার আহ্বান জানান। এমতাবস্থায় স্থানীয় চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলু নেতৃস্থানীয় কয়েকজন লোকজন ও মুরুব্বিদের নিয়ে গ্রামবাসীদের পথরোধ করেন তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি নুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহত ৭ পুলিশের মধ্যে এসআই পলওয়েল ও মুজিবুর রহমানকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”